ঢাকা, ১৬ মার্চ:
প্রকাশ : ১৬ মার্চ, ২০১৫
বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকো মারা যাওয়ায় সোনালী ব্যাংকে ড্যান্ডি ডাইংয়ের ৪৫ কোটি টাকা ঋণখেলাপী মামলায় খালেদা জিয়া, কোকোর স্ত্রী ও দুই মেয়েকে আসামি করার আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
সোনালী ব্যাংকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার ঢাকার অর্থঋণ আদালত-১ এর ভারপ্রাপ্ত বিচারক রোকসানা আরা হ্যাপী তাদের এ মামলায় আসামি করার অনুমতি দেন। হাইকোর্টের আদেশ দাখিল ও ইস্যু (বিচার্য বিষয়) গঠনের জন্য আগামী ১২ এপ্রিল দিন ধার্য করা হয়েছে।
এর আগে আরাফাত রহমান কোকো মারা যাওয়ায় ইসলামী শরীয়াহ মোতাবেক অংশীদারিত্ব মামলায় তার মা (খালেদা জিয়া) এবং স্ত্রী শার্মিলা রহমান এবং দুই মেয়ে জাফিয়া রহমান ও জাহিয়া রহমানকে বিবাদী করার জন্য গত ৮ মার্চ আদালতে আবেদন করে সোনালী ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।
সোনালী ব্যাংকের আবেদনে বলা হয়, আরাফাত রহমান কোকো এ মামলার বিবাদী। তিনি মারা যাওয়ায় খেলাপি ঋণ দেওয়ানি কর্মবিধি আইনের ২২নং আদেশের নিয়ম ৪ অনুসারে তার সম্পদের ওয়ারিশরা বিবাদীভুক্ত হবেন। তাই তার ওয়ারিশ হিসেবে মা-খালেদা জিয়া, স্ত্রী-শর্মিলা রহমান এবং দুই মেয়ে-জাফিয়া রহমান ও জাহিয়া রহমানকে বিবাদীভুক্ত করার আবেদন জানানো হয়েছে। তারেক রহমান এ মামলায় আগে থেকেই বিবাদী হওয়ায় তাকে নতুন করে বিবাদীভুক্ত করার আবেদন জানানো হয়নি।
২০১৩ সালের ২ অক্টোবর ৪৫ কোটি ৫৯ লাখ ৩৭ হাজার ২৯৫ টাকা ঋণখেলাপীর অভিযোগে ঢাকার প্রথম অর্থঋণ আদালতে মামলাটি দায়ের করেন সোনালী ব্যাংকের স্থানীয় শাখার সিনিয়র নির্বাহী কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম।
পরদিন ৩ অক্টোবর মামলাটি মধ্যস্থতা করার জন্য এডভোকেট আব্দুস সালামকে মধ্যস্থতাকারী নিয়োগ করেন বিচারক। কিন্তু দীর্ঘদিনেও কোনো মধ্যস্থতা না হওয়ায় বিচারক মামলাটিতে ইস্যু গঠনের সিদ্ধান্ত নেন।
উল্লেখ্য, গত ২৪ জানুয়ারি আরাফাত রহমান কোকো হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মালয়েশিয়ার একটি হাসপাতালে মারা যান।
এদিকে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি দুর্নীতি মামলায় বেগম খালেদা জিয়াকে আগামী ১৩ এপ্রিল আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার বিশেষ জজ আদালত-২ এর বিচারক হোসনে আরা বেগম এ আদেশ দেন। এ মামলায় অপর ১৬ আসামিকেও হাজির হতে নির্দেশ দেয়া হয়।
বড় পুকুরিয়া কয়লা খনির ইজারায় দুর্নীতির অভিযোগ এনে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এ মামলাটি করেছিল।
খালেদা জিয়ার আইনজীবী অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদিন মেজবাহ জানান, এ মামলা বাতিলে খালেদা জিয়ার একটি আবেদন হাই কোর্টে নিষ্পত্তির অপেক্ষায় রয়েছে। এ বিষয়ে হাই কোর্টের আদেশ সোমবার বিচারিক আদালতে দাখিলের দিন ধার্য ছিল।
বিএনপি চেয়ারপারসনের ওই আবেদনে হাই কোর্টের জারি করা রুলের নিষ্পত্তি করে রোববারই রায় ঘোষণার কথা থাকলেও তার আইনজীবীদের সময়ের আবেদনে তা পিছিয়ে যায়।
বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি জে বি এম হাসানের হাই কোর্ট বেঞ্চ এই রায়ের জন্য আগামী ৫ এপ্রিল নতুন দিন ঠিক করে দিয়েছে।
- See http://allbanglanewspapers.com/jugantor.html
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment